এছাড়াও শনির হাওর, মাটিয়ান হাওর, কানামুইয়া, ফানা হাওরসহ ছোট বড় বিলগুলোতে লেনজা হাঁস, পিং হাস, বালি হাঁস, সরালী, কাইম, মদনা, গঙ্গা কবুতর, কালাকোড়া ও পিয়ারির পাশাপাশি নাম না জানা অনেক অতিথি পাখির বিচরণ রয়েছে।
কখনও জলকেলি, কখনও খুনসুটিতে কিংবা খাদ্যের সন্ধানে একবিল থেকে অন্য বিলে, এক হাওর থেকে আরেক হাওরে গলা ছেড়ে সুর তুলে ঝাঁকে ঝাঁকে আকাশে উড়ছে এসব অতিথি পাখি। এদের দলবদ্ধ বিচরণ সহজেই মন কেড়ে নেয় যে কারও।
অপরূপ সুন্দর টাঙ্গুয়ার হাওরের সৌন্দর্য যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে এসব অতিথি পাখি। শীতের সকালের সোনালী রোদে অতিথি পাখিদের সাথে বক, পানকৌড়ি, মাছরাঙ্গা আর গাঙচিলের মতো দেশীয় পাখির কলকাকলিতে একাকার হয়ে গেছে টাঙ্গুয়া।
শৈত্যপ্রবাহ আর ঠান্ডার প্রকোপ থেকে নিজেদের বাঁচাতে হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ২ থেকে ৩ মাসের জন্য বাংলাদেশের হাওরাঞ্চলে আসে এসব অতিথি পাখি। তাই শীতের শুরু থেকেই এসব পাখি দেখার জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে টাঙ্গুয়ার হাওরে ভিড় জমান পাখিপ্রেমী মানুষেরা।
এদিকে রাতের আঁধারে ফাঁদ পেতে পাখি নিধন করছে এক শ্রেণির অসাধু পাখি শিকারি। খাদ্যের সন্ধানে শামুক, মাছ বা পোকামাকড়ের খোঁজে বিল থেকে বিলে বা এক হাওর থেকে অন্য হাওরে যাওয়ার সময়ই পাখি শিকারিদের ফাদে আটকা পড়ছে এসব অতিথি পাখি। এজন্য দিন দিন হাওরে পাখির আনাগোনা আগের তুলনায় অনেকাংশে কমে গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হাওরে এসব অতিথি পাখির অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগের পাশাপাশি সাধারণ মানুষকেও সচেতন হতে হবে বলে মত দর্শনার্থীদের।